মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল মহিলাদের হাত খরচের জন্য ৫০০ টাকা করে দেবেন। বাস্তবে সেই টাকায় হাত খরচ নয়, সংসারেই ব্যয় করছেন লক্ষ্মীরা। তবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে পাওয়া প্রথমবারের টাকায় অনেকে লক্ষ্মীর পুজো করছেন। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে কেউ কিনলেন প্রতিমা। কেউ আবার প্রতিমা-সহ ভোগের টাকাও দিলেন সংসারে।
পুজোর ঠিক আগে "লক্ষ্মীর ভান্ডার" প্রকল্পে বেশিরভাগ মহিলার অ্যাকাউন্টেই দু'মাসের একসঙ্গে এক হাজার টাকা ঢুকেছে। ব্যাঙ্কের ছুটির জন্য অনেকেই তুলতে পারেননি সেই টাকা। সোমবার ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলেই অনেক মহিলা নেমে পড়েছেন লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে।
বহু মহিলার বক্তব্য, আমাদের হাত খরচের কি আছে? সংসারের খরচই প্রচুর। রান্নার গ্যাস, সরষের তেল, মুগ-মসুর, এমনকি অতি প্রয়োজনীয় আলু,পেঁয়াজ সবেরই মূল্য আকাশ ছোঁয়া। একজনের ইনকামে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। মুখ্যমন্ত্রীর এই সাহায্য আমাদের মতো গরীব পরিবারের কাছে মস্ত বড় আশির্বাদের মতো।"
এই প্রসঙ্গ টেনেই কিছুজন মহিলার আবার বক্তব্য, এই যেমন লক্ষ্মী পূজার প্রতি বছর সংসারের মঙ্গল কামনায় করা হয় বাড়ীতে। করোনা পরিস্থিতিতে উপার্জনের পরিমাণ কমেছে তাই টান পড়েছে সংসারে। তার উপর লক্ষ্মী পূজার বাড়তি খরচ চাপ বাড়াচ্ছিল। এই লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা একটু শান্তি দিল।
পশ্চিম মেদিনীপুরের গ্রামগুলোতে এই ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রচুর। গড়বেতা, গোয়ালতোড়, ঘাটালের গ্রামে এই ছবি দেখা গিয়েছে।
তবে এমন প্রকল্পের মাধ্যমে সাহায্য করার জন্য মহিলারা সবাই ধন্যবাদ জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গড়বেতার বিধায়ক উত্তরা সিংহ হাজরার মতে,"লক্ষ্মীর ভান্ডারে একসঙ্গে পাওয়া দু'মাসের এক হাজার টাকা তুলে অনেক মহিলাই লক্ষ্মীপুজো করছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন।"
0 মন্তব্যসমূহ