TET Candidate: রাজপথে গান্ধী মূর্তির নিচে আপাতত আর আন্দোলনে বসতে পারবে না চাকরি প্রার্থীরা। এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য।
গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা নয়
রাজধানীর রাজপথে গান্ধী মূর্তির নিচে আপাতত আর আন্দোলনে বসতে পারবে না চাকরি প্রার্থীরা। এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য। পূর্বে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রায় ৫০ জন নতুন আন্দোলনকারীদের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। সেই সময় সীমা পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও নতুন করে জয়েন্ট কমিশনারের কোনরকম অনুমতি না পাওয়ায় সর্বশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয় এই বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা।
এদিন হাইকোর্টে চাকরির প্রার্থীদের সেই আবেদন খারিজ করে জানানো হয়, গান্ধী মূর্তির নিচে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মেয়াদ আপাতত আর বাড়ানো হচ্ছে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রায় ৫০ জন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী দুমাসেরও বেশি সময় ধরে গান্ধী মূর্তির নিচে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং তাদের প্রতি বঞ্চনার কারণে আন্দোলন করছিলেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের নির্দেশ দেন, গান্ধী মূর্তির নিচে অবস্থানের অনুমতি চেয়ে নতুন করে পুলিশের কাছে আবেদন করতে। চাকরিপ্রার্থীরা আবেদন জানান ৮ ই সেপ্টেম্বর। পুলিশ অনুমতি দেয় ১৩ ই সেপ্টেম্বর, শুধুমাত্র ৫ দিনের জন্য আন্দোলন করার। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ দিনের ধরনায় বসেন ২০১৪ এর প্রায় ৫০ জন প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। সেই আন্দোলনের মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে নতুন করে প্রশাসনের অনুমতি পাওয়ার চেষ্টা করা সত্ত্বেও সে চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু এদিনের হাইকোর্টের রায়ে নিরাশ হয়ে ফিরতে হয় এই প্রার্থীদের।
কিন্তু অপরদিকে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের খোলা আকাশের নিচে আন্দোলন প্রায় ৬০০ দিন হওয়ার পথে। দুর্গাপূজা, মহরম, ক্রিসমাস ডে ইত্যাদি সবকিছু একবার পেরিয়ে দ্বিতীয়বারও প্রায় পেরোনোর অপেক্ষায়। কিন্তু আন্দোলনরত বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যার কোন রূপ সমাধান এখন পর্যন্ত গড়ে উঠতে পারেনি শিক্ষা দপ্তর এবং সরকার।
0 মন্তব্যসমূহ