WBSSC Recruitment: নিয়োগের আশ্বাসেও সন্তুষ্ট নয় শিক্ষকরা, দুর্নীতির আতঙ্ক কি তাড়া করে চলেছে এখনও? কি বলছে সরকার

WBSSC Recruitment Update

WBSSC Recruitment Update:- পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে স্বচ্ছ ভাবে। কিন্তু চাকরীহারা শিক্ষকদের মধ্যে এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে রয়েছে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারনেই রাজ্য সরকার এবং শিক্ষাদপ্তর উঠেপড়ে লেগেছে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। দুর্নীতির কালো দাগ মুছে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার।

পরীক্ষা শেষে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি 'ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ' নিয়োগের কথা জানান। কিন্তু তার কথায়ও ভরসা পাচ্ছে না চাকরীহারা যোগ্য শিক্ষকরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এক ধাক্কায় প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে হয়েছিল। নেপথ্যে ছিল রাজ্য সরকারের অগণিত দুর্নীতি। বেনিয়ম করে বেশ কিছু অযোগ্য প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। 'সুপ্রিম' নির্দেশের কারণেই প্রায় ৯ বছর পর রাজ্যে এস এস সি পরীক্ষা নেওয়া হলো। 

আরো পড়ুন:- দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় বাংলার কোন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়?

চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের বক্তব্য, ২০১৬ সালেও সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গেই পরীক্ষা সংগঠিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে দুর্নীতি হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিস থেকে দুর্নীতির বিভিন্ন ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার স্মরণ করে তাদের দাবি, এবারেও পরীক্ষা স্বচ্ছ ভাবে হয়েছে, একথা অনেকাংশে সঠিক।  কিন্তু পরবর্তীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে একাধিক চাকরিপ্রার্থী। সরকারের কথার উপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখতে পারছেন না চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা। তারা দাবি করে চলেছেন, ২০১৬ সালের প্যানেলে কতজন যোগ্য আর কত জন অযোগ্য প্রার্থী ছিলো সেই তালিকা প্রকাশ করুক এস এস সি তথা রাজ্য সরকার। অযোগ্যদের কি কারনেই বা সর্বসমক্ষে আনতে ভয় পাচ্ছে সরকার এবং কমিশন। সেই তালিকা প্রকাশ না হওয়া অবধি সরকারের কোনো কথায় ভরসা পাচ্ছে না চাকরীহারা যোগ্য শিক্ষকরা। 

আরো পড়ুন:- WBSSC Recruitment Result

যদিও সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, নতুন প্যানেলে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। সেই সঙ্গে নভেম্বরের মধ্যে ইন্টারভিউ নেওয়া শুরু হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ অতিরিক্ত ১০ নম্বর ইন্টারভিউয়ের আগেই মোট নম্বরের সঙ্গে যোগ হবে বলেও তিনি এদিন জানান। সবমিলিয়ে, আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষক নিয়োগের ইস্যুতে নিজেদের সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিমুক্ত রাখতে মরিয়া রাজ্য সরকার।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ