বাংলার লক্ষ্মীর ভান্ডারে লক্ষ্মী, সরকার সাথে থাক দারিদ্র্যতা দূরে যাক






 

  লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। মমতা সরকারের এই প্রকল্প ঘিরে বিপুল আগ্ৰহ তৈরি হয়েছে জনসমক্ষে। এই প্রকল্পের সৌজন্যে বিরোধী দলের উপর রাজনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল। বঙ্গ বিজেপি 'লক্ষ্মী ভাণ্ডারে'র বিকল্প রূপে অসমের বিজেপি সরকারের "অরুণোদয়" প্রকল্পকে সামনে তুলে ধরতে চাইছে।বিজেপি-র বক্তব্য, বাংলার তুলনায় অসমের বিজেপি সরকার অনেক ভাল প্রকল্প চালায় এবং এ বার তাতে টাকার পরিমাণও বাড়ছে। যদিও তৃণমূল মহল মনে করেন বঙ্গ বিজেপির এইসব কথাবার্তা জনসমক্ষে তেমন ছাপ ফেলতে পারবে না।



অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবার পর হেমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বধীন বিজেপি সরকার অসমে বহু নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে একটি "অরুণোদয়।" এতে বলা হয়েছে, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ‘অরুণোদয়’ প্রকল্পে রাজ্যের দরিদ্র পরিবার পিছু মাসে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এখন এই প্রকল্পে মাসিক ৮৩০ টাকা করে পাওয়া যায়। শুক্রবার হেমন্ত মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মতো প্রতি মাসের ১০ তারিখে দরিদ্র পরিবারের নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা দেবে সরকার। পরিকল্পনা রয়েছে পরবর্তীতে এই টাকা তিন হাজার পর্যন্ত বাড়ানো হবে।


পশ্চিমবঙ্গে লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্প চালু হবার পর বারবার বিরোধীদের নিশানায় এসেছে এই প্রকল্প। কখনো কখনো বিরোধীরা একে তৃণমূল নেতাদের 'কাটমানি' আদায়ের নতুন পদ্ধতি রূপে তুলে ধরেছেন।



এ প্রসঙ্গে বলা যায়,রাজ্যের ঘোষণা মতো, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে গৃহবধূরা মাসে ৫০০ টাকা করে পাবেন। তফসিলি জাতি এবং জনজাতিভুক্ত গৃহবধূদের ক্ষেত্রে এই অনুদানের পরিমাণ ১ হাজার টাকা। ২৫-৬০ বছর বয়সের মহিলারা আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে স্থায়ী সরকারি চাকরিরত, পেনশনভোগী, স্বশাসিত সংস্থা, সরকার অধিগৃহীত সংস্থা, পঞ্চায়েত, পুরসভার কর্মী এবং যে সব শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা স্থায়ী বেতন বা পেনশন পান, তাঁদের স্ত্রীরা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না।


পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবেন লক্ষ্মীর ভান্ডার ফর্ম। এছাড়া অনলাইন থেকেও ডাউনলোড করতে পারেন।তারপর ফর্ম পূরণ করে নীচে উল্লিখিত ডকুমেন্ট সহ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেই জমা দেবেন।  প্রসঙ্গত যে এই প্রকল্পের সুবিধা লাভ করার জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা জরুরি।


প্রয়োজনীয় তথ্য:

ফর্মের সব চেয়ে উপরে রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি নির্দিষ্ট বক্সে লাগাতে হবে। তাই ছবি নিয়ে যেতে ভুলবেন না।


 ১.ব্যাঙ্কের পাস বইয়ের প্রথম পাতার জেরক্স কপি দিতে হবে। কারণ এর মাধ্যমেই টাকা পাঠানোর জন্য ব্যাঙ্ক ডিটেইলস পাওয়া যাবে।


 ২.স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার, ভোটার, রেশন কার্ড নিয়ে যাবেন। জেরক্স কপিও রাখবেন।


 ৩.তপশিলি জাতি উপজাতি তালিকাভুক্ত হলে শংসাপত্রের জেরক্স কপি দিতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ