লখিমপুর খেরির কৃষক মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। হিন্দি বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট সামনেই। ভোটের প্রাক্কালে এমন ঘটনায় টনক নড়েছে শাসক এবং বিরোধীদের। ভোটের পূর্বে এমন ঘটনার নিন্দাও করেছেন অনেক সমাজ সচেতন ব্যক্তিত্ব এবং বহু জন এই ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রচারের কাজে লাগানোর বিপক্ষে। আবেদন করেছেন এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করতে। কিন্তু ভোটের মুখে এমন ঘটনাই রাজনৈতিক উত্তেজনা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত অবস্থাতেই ভোটকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের একটি সম্মেলন এবং প্রদর্শনীর (আজাদি কি অমৃত মহোৎসব @৭৫) উদ্বোধন করতে তিনি উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য,"বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করে রাজ্যে শাসক এবং বিরোধী দলগুলির সক্রিয়তা শুরু হয়েছে, চলতি মাসেই সেখানে বেশ কিছু শীর্ষ নেতানেত্রীকে দেখতে পাওয়া যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক অতীতে দুইবার উত্তরপ্রদেশে গিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজে। এ ছাড়া প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহের শেষকৃত্যে যোগ দিতে তিনি ওই রাজ্যে গিয়েছিলেন।
শুধু মোদীর বিজেপি নয়, বরং কংগ্রেস এবং বসপা'র শীর্ষস্থানীয় নেতানেত্রীদেরও সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আগামী ৯ অক্টোবর বহুজন সমাজবাদী পার্টি'র প্রতিষ্ঠাতা কাঁশীরামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে লখনউয়ে জমায়েতে যোগ দেবেন দলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে উপস্থিত হবেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। লখনউয়ে তিনি যাবেন কাঁশীরাম মেমোরিয়ালে। গত দেড় বছর মায়াবাতীকে সে ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায়নি। কিন্তু ভোট আসতেই সক্রিয়তা বাড়াচ্ছেন তিনিও।
লখিমপুর এর ঘটনায় অলরেডি উত্তরপ্রদেশ পৌঁছে গেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া। সাম্প্রতিক প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। অন্যদিকে লখিমপুর ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থানে বসে সিধু সহ কিছু কংগ্রেস নেতা গ্রেপ্তার চন্ডীগড়ে।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বারাণসী থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করার কথা ১০ অক্টোবর থেকে।
শাসকদলের কাছে উত্তরপ্রদেশে ভোট কৌশলে এ বার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ওবিসি এবং তফসিলিরা। ওবিসি ও তফসিলিদের হিন্দুত্বের পরিচয় তুলে ধরতে চাইছে পদ্মশিবির। সর্বমোট 22/23 টি জাতিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি জাতির জন্য আলাদা আলাদা জনসভা করা হবে এবং আমন্ত্রণ জানানো হবে ঐসব জাতির অন্তর্গত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের। কংগ্রেসের কৌশল শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং উন্নয়নে পিছিয়ে থাকা উত্তরপ্রদেশ বাসীর ভোট নিজের দিকে টানা।
0 মন্তব্যসমূহ