কোভিড-বাধা কাটিয়ে প্রায় দেড় বছর পরে বিদ্যালয় খুললো আজ, আনন্দে প্রতিক্রিয়া দিলেন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা

 সেই ২০১৯ সালে করোনা হানা দেওয়ায় স্পর্শ এড়াতে অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ এমনকি ট্রেন সহ অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দেশে সম্পূর্ণ লকডাউন চলেছিল। বিশ্বব্যাপী হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছিল। ব্যবসাবাণিজ্যের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল একপ্রকার। তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার ও বিজ্ঞানীদের অসীম চেষ্টায় কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। প্রতি দেশে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। ধীরে ধীরে নিউ নর্মাল লাইফে অফিস, আদালত, পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলেও এতদিন প্রায় বন্ধই ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরই মাঝে কলেজগুলো থেকে দুই ব্যাচ পড়ুয়ারা তাদের কলেজ জীবন শেষ করে চলে গেছে উচ্চশিক্ষার জন্য কিংবা অন্য কোনো লক্ষ্যে।




কোভিড এর ভয় কাটিয়ে আবার পশ্চিমবঙ্গে আজ থেকে শুরু হল স্কুল কলেজে পাঠ্য প্রক্রিয়া। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পশ্চিম থেকে পূর্বে সর্বত্র যেন এক নতুন ভোরের মতো সূত্রপাত হলো পাঠ্য প্রক্রিয়ার। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের বরণ করে নিলেন শিক্ষক শিক্ষিকা সহ পরিচলন সমিতিও।

এই যেমন, বারাসত গার্লস স্কুলে তাপমাত্রা মেপে ঢোকানো হয়েছে ছাত্রীদের। ঢোকানোর সময় প্রত্যেক ছাত্রীর হাতে একটি করে স্যানিটাইজারের বোতল তুলে দেওয়া হয়েছে।

মেদিনীপুরে দেখা গেল অন্যরকম দৃশ্য। পড়ুয়াদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত স্বয়ং পুরপ্রশাসক।

আজ সকাল থেকেই স্কুলের পথে পা বাড়িয়েছেন নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেনির পড়ুয়ারা। মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালক এবং বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে দেখা গেল মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক সৌমেন খানকে। স্কুল পড়ুয়াদের হাতে ফুল তুলে দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

হুগলি কলেজিয়েট স্কুলে ছাত্রদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। সেখানে আবার বহুদিন পর বন্ধুদের ফিরে পেয়ে সহপাঠীরা মেতেছে আড্ডায়। সেই আড্ডার দৃশ্য চোখে পড়ে বেশ।

আসানসোলের ধাদকা নারায়ণ চন্দ্র লাহিড়ী বিদ্যামন্দিরে লজেন্স দিয়ে বিদ্যালয়ে স্বাগত জানানো হচ্ছে।

রাজ্যের প্রত্যেকটি স্কুলে কোভিড দূরত্ববিধি মেনে,মাস্ক পরিধান করেই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসেছে। সবাই স্যানিটাইজার ব্যবহার করছে। কিছু স্কুলে দেখা গেল প্রার্থনা হচ্ছে স্কুলের মাঠে যথাযথ দূরত্ব বজায় রেখেই।

শিলিগুড়ি বয়েজের প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত বলেন, ছাত্রদের ক্লাসঘরে পেয়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। পড়াশোনা এবং তাদের স্বাস্থ্যের দিকে সব সময় নজর দেওয়া হবে। স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ