২০২৩ সালে ঈদ উল ফিতর কবে পালিত হবে? এর উওর অনেকেই হয়তো জানেন আবার অনেকেই জানেন না।সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ২০২৩ ঈদ উল ফিতর(Eid Ai Fitr 2023) দিনটি পালিত হবে ২১ এপ্রিল শুক্রবার থেকে ২২ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। ঈদ উল ফিতর দিনটিকে উপলক্ষ করে ২২ এপ্রিল শনিবার সরকারি ছুটি দেয়া হয়েছে।
ইসলাম ধর্মে যে দুইটি উৎসব সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য তার মধ্যে একটি হল ঈদ উল ফিতর এবং অন্যটই হল ঈদ উল যোহা। হিজরি বর্ষপঞ্জী অনুসারে, রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদ উল ফিতর উৎসব পালন করা হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, এপ্রিল মাস জুড়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা রমজান মাস পালন করেন। সারাদিন ধরে উপবাস করেন এমনকি জল পর্যন্ত পান করেন না। সন্ধ্যে বেলায় আল্লাহর উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ার পর খাদ্য পানীয় গ্ৰহণ করেন। ৩০ দিন রমজান মাস পালনের পর ঈদ উল ফিতর পালন করেন মহাসমারোহে।
ঈদের আগের রাতটিকে ইসলামী পরিভাষায় "লাইলাতুল জায়জা" এবং চলতি ভাষায় "চাঁদ রাত" বলা হয়। শাওয়াল মাসের চাঁদ অর্থাৎ সূর্যাস্তে একফালি নতুন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন ঈদ পালিত হয়, এই কথা থেকেই চাঁদ রাত কথাটির উদ্ভব। ঈদের চাঁদ স্বচক্ষে দেখে তবেই ঈদের ঘোষণা দেওয়া হয়।বর্তমান কালে অনেক দেশে গাণিতিক হিসাবে ঈদের দিন নির্ধারিত হচ্ছে, কিন্তু ভারত,বাংলাদেশ, পাকিস্তানে ঈদের দিন নির্ধারিত হয় দেশের কোথাও না-কোথাও চাঁদ দর্শনের ওপর ভিত্তি করে 'জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি'র সিদ্ধান্ত অনুসারে। মুসলমানদের জন্য ঈদের পূর্বে পুরো রমজান মাস রোজা রাখা উচিত হলেও ঈদের দিনে রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
আরো পড়ুন : পিরিয়ড মিস, প্রেগনেন্সি টেস্টের সঠিক সময়
ঈদের দিন নামাজ
ঈদের দিন ভোরে মুসলমানরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে। ভোরের নামাজ বা যাকাতের পর ঈদের নামাজ পড়েন নিকটবর্তী মসজিদে। সাধারণত, ঈদের নামাজের পরে মুসলমানরা সমবেতভাবে মুনাজাত করে থাকেন এবং একে অন্যের সাথে কোলাকুলি করে ঈদের সম্ভাষণ বিনিময় করে থাকেন। ঈদের শুভেচ্ছাসূচক সম্ভাষণটি হলো,'ঈদ মুবারাক।'
ঈদের দিনে সকালে প্রথম আনুষ্ঠানিকতা হলো নতুন জামা-কাপড় পরে ঈদের নামাজ পড়তে নিকটবর্তী মসজিদে যাওয়া। ঈদের নামাজ সবার জন্য। নামাজের পর সবাই একসাথে দেখা করে,কোলাকুলি হয়,কথাবার্তা হয়। ঈদের দিনে সালামি (গুরুজন প্রদত্ত অর্থ) গ্রহণ করা প্রায় সব দেশেই রীতি আছে। তবে এর ধর্মীয় কোন বাধ্যবাধকতা নাই। এরকম কোনো নীতি গ্ৰন্থে বর্ণনা নাই। কিন্তু বহুকাল ধরে প্রচলিত হয়ে আসছে।
ঈদ উল ফিতর উৎসবে কী কী খাওয়া থাকে
ঈদ উল ফিতর উৎসবের এক গুরুত্বপূর্ণ খাবার হল সিমাই বা সেমাই। দুধ, নারকেল এবং সিমাই কাঠি দিয়ে প্রস্তুত করা হয় এই খাদ্য। ধনী, দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই প্রতিবেশীদের দান করেন এই খাবার। নতুন পোশাক বিতরণ করে থাকেন অনেক ধনী ব্যক্তি। রমজান মাসের শেষ কেনাকাটা চলে মুসলিম পরিবারগুলোতে। সু-ভ্রাতৃত্ব বোধের এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল রুপে বিবেচিত হয় ঈদ উল ফিতর।
0 মন্তব্যসমূহ