রক্ত কি? রক্তের গ্রুপ নির্ণয় পদ্ধতি | বাবা-মায়ের রক্তের গ্রুপ একই হলে সন্তানের কি সমস্যা হয়?



রক্ত কি? রক্তের গ্রুপ নির্ণয় পদ্ধতি | বাবা-মায়ের রক্তের গ্রুপ একই হলে সন্তানের কি সমস্যা হয়?


রক্ত কি?(What is blood?) এই প্রশ্নের একটি উত্তর হৃদপিণ্ড এবং রক্তবাহে অবস্থানকারী রক্তরস এবং রক্তকণিকা নিয়ে গঠিত, অস্বচ্ছ, লবণাক্ত, ক্ষারধর্মী, তরল যোগকলাকে রক্ত বলা হয়। প্রতিটি মানবদেহের গড় ওজনের শতকরা 7 ভাগ রক্ত থাকে (গড়ে মানবদেহে ৬-৭ লিটার রক্ত থাকে) রক্তের গ্রুপ নির্ণয় পদ্ধতি(Blood Group Determination Method) বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। আর প্রতিটি মানুষের নিজের রক্তের গ্রুপ জানাটা অত্যন্ত জরুরি। তাই এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনার রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করবো।



বর্তমান সময়ে বিবাহ সম্পর্কে জড়ানোর আগে, ছেলে/মেয়ের পরিবার যেমন জানতে চাই অপরপক্ষ কতটা সুন্দর দেখতে, কত টাকা উপার্জন করে প্রতিমাসে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কত আরো কতকিছু। কিন্তু তারই সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ এর আগে অবশ্যই দম্পতি রক্তের গ্রুপ জানাটা জরুরী। কারণ বাবা-মার রক্তের গ্রুপের উপরে নির্ভর করেই সন্তানের স্বাস্থ্য তৈরি হয়। তাই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকে অবশ্যই রক্তের গ্রুপ জানো।


প্রিয় পাঠক এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় পদ্ধতি ছাড়াও জানতে পারবেন

১.রক্তের গ্রুপ নির্ণয় পদ্ধতি
২.রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এর উপকারিতা
৩.মা-বাবার রক্তের গ্রুপ থেকে সন্তানের রক্তের গ্রুপ নির্ণয়
৪.রক্ত কি?
৫. রক্তের রং লাল হয় কেন?
৬. রক্তের বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী!
৭. রক্তের উপাদান সমূহ
  • ৭.(A). রক্ত রস
  • ৭.(B). রক্ত কণিকা
  • ৭.(C). কঠিন পদার্থ তিন ভাগে বিভক্ত
  • ৭.(D). শ্বেত রক্তকণিকা পাঁচ ভাগে বিভক্ত)
৮. রক্তের কাজ?
৯. রক্তের কয়টি বিভাগ?
১০. বাবা মায়ের রক্তের গ্রুপ এক হলে কি কি সমস্যা হয়।
১১. কোন রক্তের গ্রুপ কোন গ্রুপকে রক্ত দিতে পারবে
১২. কাদের রক্তদান করা উচিত।
১৩. কাদের রক্ত গ্রহণ করা উচিত নয়
১৪. রক্তের গ্রুপ নির্ণয় পদ্ধতি
  • ১৪.(A). প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি
  • ১৪.(B).পদ্ধতি
  • ১৪.(C).পর্যবেক্ষণ
  • ১৪.(D).পজেটিভ এবং নেগেটিভ নির্নয় করা




রক্তের গ্রুপ নির্ণয় পদ্ধতি


রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয় লোহিত রক্তকণিকার অংশে ABO রক্ত গ্রুপের এন্টিজেন এর উপস্থিতির দ্বারা। বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরী।

বর্তমান সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়া টা অস্বাভাবিক কিছুই নয়, আপনি যদি আপনার রক্তের গ্রুপ জেনে থাকেন তাহলে ডাক্তারদের রক্ত দিতে খুব সুবিধা হবে। এছাড়াও আপনি অন্য কোন ব্যক্তিকে খুব সহজেই রক্তদান করতে পারবেন। এছাড়াও বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করে নিলে , আপনাদের পরিবারের ভবিষ্যতে যে নতুন সদস্য আসবে, তার স্বাস্থ্যের দিক থেকে আগে থেকেই সচেতন হতে পারবে না।



রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এর উপকারিতা


প্রতিটি মানুষের নিজের রক্তের গ্রুপ জায়গাটা অত্যন্ত জরুরী। যে কোন মুহূর্তে যে কোন ধরনের বিপদ রক্ষা পেতে পারেন আপনি। একইভাবে অন্য কোন মানুষকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন আপনি। বর্তমান সময়ে পথ দুর্ঘটনা বা অন্য কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক কিছুই নয়, আপনি যদি আপনার রক্তের গ্রুপ জানেন তাহলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষটিকে আপনার রক্তের মাধ্যমে সাহায্য করতে পারবেন।

রক্ত দেয়া অথবা নেওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরী।



মা-বাবার রক্তের গ্রুপ থেকে সন্তানের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় পদ্ধতি


স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ যদি এক হয় তাহলে সন্তানের রক্তের গ্রুপও মা-বাবার রক্তের গ্রুপ অথবা 'O' গ্রুপের হয়ে থাকে। অন্য দিকে স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ যদি আলাদা হয় তাহলে সন্তানের রক্তের গ্রুপ হবে






রক্ত কি


হৃদপিণ্ড এবং রক্তবাহে অবস্থানকারী রক্তরস এবং রক্তকণিকা নিয়ে গঠিত, অস্বচ্ছ, লবণাক্ত, ক্ষারধর্মী, তরল যোগকলাকে রক্ত বা ব্লাড বলে।



রক্তের রং লাল হয় কেন


রক্তের একটি বিশেষ উপাদান লোহিত রক্তকণিকা, যেটি হিমোগ্লোবিন নামক অক্সিজেনবাহি লৌহসমৃদ্ধ বতুলাআকার মেটালোপ্রোটিন দ্বারা গঠিত। রক্তে হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতির কারণেই রক্তের রং লাল হয়। প্রতি ১০০ মিলিলিটার হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ থাকে ১১-১৭% ।



রক্তের বৈশিষ্ট্য গুলি কী কী


1. রক্ত কিছুটা ক্ষারীয় প্রকৃতির হয় ( pH : 7.4)
2. মানুষ সহ সমস্ত মেরুদন্ডী প্রাণীদের রক্তের বর্ণ লাল। রক্তের লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক শ্বাসরঞ্জক থাকায় এর বর্ণ লাল হয়।
3. তাজা রক্তের একটি বিশেষ গন্ধ আছে।
4. সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)-এর উপস্থিতির জন্য রক্তের স্বাদ নোনা।
5. রক্তের আপেক্ষিক গুরুত্ব ১.০৫৫ - ১.০৬৫
6. একজন সুস্থ স্বাভাবিক উচ্চতা বিশিষ্ট প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মানুষের দেহে রক্তের পরিমাণ 5 লিটার এবং স্ত্রীলোকের দেহে 4.5 লিটার।



রক্তের উপাদান সমূহ


[A] রক্তরস

        1. জল (91-92%)
        2. কঠিন পদার্থ (8-9%)
        3. গ্যাসীয় বস্তু (1-2%)


 [B] রক্তকোষ

      1. লোহিত রক্তকণিকা
        2. শ্বেত রক্তকণিকা
        3. অণুচক্রিকা

কঠিন পদার্থ তিনভাগে বিভক্ত


১. জৈব বস্তু - প্রোটিন, প্রোটিন বিহীন নাইট্রোজেন যৌগ এবং জৈব যৌগ।
২. অজৈব বস্তু - অ্যামাইনো অ্যাসিড, ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া, ইউরিক অ্যাসিড।
৩. অন্যান্য বস্তু - ভিটামিন, উৎসেচক, রঞ্জক, হরমোন।

শ্বেত রক্তকণিকা পাঁচ ভাগে বিভক্ত


1. নিউট্রোফিল
2. ইওসিনোফিল
3. বেসোফিল
4. লিম্ফোসাইট
5. মনোসাইট



রক্তের কাজ গুলী কী কী


1. পুষ্টি দ্রব্য পরিবহন
2. শ্বাস বায়ু পরিবহন
3. দূষিত পদার্থের অপসারণ
4. পরিবহনের মাধ্যম রূপে কাজ
5. দেহে জলের সমতা বজায়
6. আয়নের সমতা বজায়
7. দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণ করা
8. প্রতিরক্ষা মূলক কাজ করা।




রক্তের কয়টি বিভাগ


চিকিৎসাবিজ্ঞানের মানুষের মধ্যে সজীব কলা প্রতিস্থাপনে অত্যাধিক রক্তক্ষরণ হয়েছে এমন ব্যক্তির দেহে রক্তসঞ্চালন একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা সফলতা এবং ব্যর্থতা দুটিরই সম্মুখীন হয়েছে। ব্যর্থতা কিংবা জটিলতার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ড স্টেইনার 1900 খ্রিস্টাব্দে মানুষের রক্তের লোহিত কণিকার কোশ পর্দায় দু'ধরনের অ্যাগ্লুটিনোজেন-এর অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। তিনি আরও লক্ষ্য করেন যে, রক্তরস বা প্লাজমায় অনুরূপ অ্যাগ্লুটিনিন এর উপস্থিতির জন্য জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং ফলস্বরূপ রক্ত গ্ৰহীতার মৃত্যুও হতে পারে।

অ্যাগ্লুটিনোজেন এবং অ্যাগ্লুটিনিন এর উপস্থিতির ভিত্তিতে মানুষের রক্ত চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত
A, B, AB এবং O, এই শ্রেণীবিভাগকে ABO সিস্টেম বলা হয়



বাবা মার রক্তের গ্রুপ নিয়ে সন্তানের স্বাস্থ্য


বর্তমান সময়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ রাগে সবার প্রথম দুজনের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে নেয়া অত্যন্ত জরুরী ভবিষ্যতের। আপনাদের রক্তের গ্রুপ এর উপরে নির্ধারণ করবে আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্যের ভবিষ্যৎ। রক্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জয় ফ্যাক্টর। জয় ফ্যাক্টর এর মাধ্যমে আপনার সন্তানের স্বাস্থ্য নির্ণয়


স্বামী রক্তের গ্রুপ স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সন্তানের অবস্থান
পজেটিভ (+) পজেটিভ (+) সুস্থ সন্তান
নেগেটিভ (-) নেগেটিভ (-) সুস্থ সন্তান
নেগেটিভ (-) পজেটিভ (+) সুস্থ সন্তান
পজেটিভ (+) নেগেটিভ (-) প্রথমটি সুস্থ, বাকিগুলো অসুস্থ/মৃত


কোন রক্তের গ্রুপ কোন গ্রুপকে রক্ত দিতে পারবে


আমাদের যে কোন মুহূর্তে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের রক্তের গ্রুপ জানা থাকলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষটিকে আমরা উপকার করতে পারি। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা জানি না আমি কোন কোন গ্রুপের মানুষকে রক্ত দান করতে পারব। নিচের দেয়া ছকের মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণ ভাবে জানতে পারবেন কোন গ্রুপের মানুষ কোন গ্রুপের মানুষকে রক্ত দিতে পারবে-


রক্তের গ্রুপ রক্ত দিতে পারবে রক্ত নিতে পারবে
AB+ AB+ সবার থেকে
AB- AB+, AB- AB-, A-, B-, O-
A+ A+, AB+ A+, A-, O+, O-
A- A+, A-, AB+, AB- A-, O-
B+ B+, AB+ B+, B-, O+, O-
B- B+, B-, AB+, AB- B-, O-
O+ O+, A+, B+, AB+ O+, O-
O- সবাইকে O-


কাদের রক্তদান করা উচিত


চিকিৎসকদের মতে, একজন ১৮ বছরের উপরে যেকোন ব্যক্তিই রক্তদান করতে পারে। সচরাচর প্রতি চার মাস অন্তর একবার রক্তদান করা উচিত। প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দেহে ৫০০০ ml রক্ত থাকে। এর থেকে যদি ২৫০ ml রক্তও দান করা হয় তাহলেও শরীরের রক্তের শতকরা ৫% দেওয়া হয়।



কাদের রক্ত গ্রহণ করা উচিত নয়


চিকিৎসকদের মতে ১৮ বছরের উর্ধ্বে যে কোন ব্যাক্তি রক্তদান করতে পারেন, এবং সেই রক্ত অন্য কোন ব্যক্তি গ্রহণ করতেও পারবেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে বড় বড় জটিল রোগ যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি অন্য কাউকে রক্ত দিতে পারবেন না। সেকি একটি অন্যতম কারণ হলো আপনার রক্তের মাধ্যমে ওই রোগটি, অনধিক শরীরে ছড়িয়ে পড়বে।
বিশেষত যে রোগ গুলি থাকলে রক্তদান করা বা গ্রহণ করা উচিত নয়-
  • রক্তচাপ ও শরীরের তাপমাত্রা ঠিক না থাকলে রক্ত দান করা উচিত নয়।
  • হাঁপানি
  • হেপাটাইটিস
  • জন্ডিস
  • এইডস
  • সিফিলিস
  • গনোরিয়া
  • ম্যালেরিয়া ইত্যাদি।



রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করার পদ্ধতি



প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:-


1. ব্লাড গ্রুপিং এর জন্য তিনটি অ্যান্টি অর্থাৎ Anti A, Anti B এবং Anti D দরকার।
2. জীবাণুমুক্ত সূচ
3. কাঁচের স্লাইড
4. তুলা
5. জীবাণুনাশক


পদ্ধতি :-


1. প্রথমে নির্দিষ্ট ব্যক্তির আঙুলের ডগায় তুলায় জীবাণুনাশক দিয়ে একটু পরিষ্কার করে নিতে হবে।
2. সূচ দিয়ে ছোট্ট ফুটো করে একটু রক্ত সংগ্রহ করে নেওয়া প্রয়োজন।
3. স্লাইডে একটু একটু দূরত্বে তিন ফোঁটা রক্ত নিয়ে নিতে হবে।

প্রথম ফোঁটায় Anti A, দ্বিতীয় ফোঁটায় Anti B এবং তৃতীয় ফোঁটায় Anti D মেশাতে হবে এবং সূচ দিয়ে হালকা মেশানো চালিয়ে যেতে হবে। দেখতে হবে যাতে ফোঁটা তিনটি পরস্পর মিশে না যায়।


পর্যবেক্ষণ :-


1. যদি Anti A ফাটে, কিন্তু Anti B না ফাটে তাহলে উক্ত রক্ত, group A এর।
2. যদি Anti A না ফাটে, কিন্তু Anti B ফাটে তাহলে উক্ত রক্ত, group B এর।
3. যদি Anti A এবং Anti B দুটোই ফাটে, তাহলে উক্ত রক্ত, group AB এর।
4. যদি Anti A এবং Anti B কোনোটাই না ফাটে তাহলে উক্ত রক্ত, group O এর।

পজেটিভ এবং নেগেটিভ নির্নয় করা :-
যদি Anti D ফেটে যায়, সেক্ষেত্রে রক্ত পজেটিভ (+) বৈশিষ্ট্যের।
যদি Anti D না ফাটে, তাহলে রক্ত নেগেটিভ (-) বৈশিষ্ট্যের।

এভাবে সহজে আপনারা নিজের রক্ত গ্রুপ নির্ণয় করতে পারেন। কিন্তু সচরাচর রক্ত গ্রুপ নির্ণয় করার জন্য এই বিষয়ে দক্ষতা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের সহায়তা নেওয়া উচিত।




রক্ত কি? রক্তের গ্রুপ নির্ণয় পদ্ধতি | বাবা-মায়ের রক্তের গ্রুপ একই হলে সন্তানের কি সমস্যা হয়?
FAQ

1. রক্ত কী?
হৃদপিণ্ড এবং রক্তবাহে অবস্থানকারী রক্তরস এবং রক্তকণিকা নিয়ে গঠিত, অস্বচ্ছ, লবণাক্ত, ক্ষারধর্মী, তরল যোগকলাকে রক্ত বা ব্লাড বলে।

2. রক্তের রং লাল হয় কেন?

রক্তের একটি বিশেষ উপাদান লোহিত রক্তকণিকা, যেটি হিমোগ্লোবিন নামক অক্সিজেনবাহি লৌহসমৃদ্ধ বতুলাআকার মেটালোপ্রোটিন দ্বারা গঠিত। রক্তে হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতির কারণেই রক্তের রং লাল হয়।

3. রক্ত গ্রুপ কে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?
রক্ত ক্লিপ কে চার ভাগে ভাগ করা হয়। যে গুলি হল A, B, AB, O।

4. প্রতিটি মানবদেহে গড়ে কত ভাগ রক্ত থাকে?
প্রতিটি মানবদেহের গড় ওজনের শতকরা ৭ ভাগ রক্ত থাকে (গড়ে মানবদেহে ৬-৭ লিটার রক্ত থাকে)

5. রক্তের PH কত?
রক্ত সামান্য ক্ষারীয় হয়, রক্তের ph হলো ৭.২ - ৭.৪।

6. রক্তের আপেক্ষিক গুরুত্ব কত ?
রক্তের আপেক্ষিক গুরুত্ব হলো ১.০৫৫ - ১.০৬৫।

7. রক্তের স্বাদ নোনতা হয় কেন?
রক্তে সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) থাকার জন্য রক্তের স্বাদ নোনতা হয়।

8. রক্তরসের উপাদান গুলি কী কী?
রক্তরসের উপাদান গুলি হল-
        A. জল (91-92%)
        B. কঠিন পদার্থ (8-9%)
        C. গ্যাসীয় বস্তু (1-2%)

9. রক্ত কণিকা কয় প্রকার ও কী কী?
 রক্তকণিকা কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়, যথা
  • লোহিত রক্তকণিকা।
  • শ্বেত রক্তকণিকা।
  • অণুচক্রিকা।

10. রক্তদান করার নূন্যতম বয়স কত?
রক্তদান করার নূন্যতম বয়স ১৮। কোন ব্যক্তি ১৮ বছরের উর্ধ্বে হলে তিনি রক্তদান করতে পারবেন।

11. কতদিন অন্তর একজন ব্যাক্তি রক্তদান করতে পারেন?
একজন সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তি ৪৫ দিন অন্তর রক্তদান করতে পারেন।

12. রক্তের কাজ গুলি কী কী?
  • পুষ্টি দ্রব্য পরিবহন
  • শ্বাস বায়ু পরিবহন
  • দূষিত পদার্থের অপসারণ
  • পরিবহনের মাধ্যম রূপে কাজ
  • দেহে জলের সমতা বজায়
  • আয়নের সমতা বজায়
  • দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণ করা
  • প্রতিরক্ষা মূলক কাজ করা।

13. রক্ত বাহিত একটি রোগের নাম বল?
রক্ত বাহিত একটি রোগ হল
হাঁপানি
হেপাটাইটিস
জন্ডিস
এইডস
সিফিলিস
গনোরিয়া
ম্যালেরিয়া ইত্যাদি

14. কোন কোন প্রাণীর রক্ত ঠান্ডা?
সাধারণত মানবদেহে যে রক্ত থাকে তা উষ্ণ হয়। কিন্তু পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী রয়েছে যাদের রক্ত ঠান্ডা হয় যেমন -চিংড়ি, শামুক,ঝিনুক , সাপ, কুমির, ইতালি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ