পাকিস্তানের অনেক নীচেই ভারতের অবস্থান, সদ্য প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে দেখে নিন ভারতের অবস্থান

 "এ মহাভারত দাদা এ মহাভারত... " - একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে 4G ছাড়িয়ে 5G টেকনোলজি গ্ৰহণ করতে চলেছে আমাদের দেশ। সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী শীঘ্রই (২০৩০/২০৩৫ সালের মধ্যে) 5G এর চেয়ে আরোও ৫০ গুণ দ্রুত 6G টেকনোলজি আসবে ভারতবর্ষে। অন্যদিকে সদ্য প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের তালিকায় পূর্ববর্তী বছর অপেক্ষা কয়েকধাপ পিছিয়ে ভারত একেবারে তলানির দিকে। এ যেন একই মুদ্রার দুই পিঠ। একদিকে উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশ হবার লড়াই, ক্যাপিটালিজম এর বিস্তার ঘটছে দেশে,বিদেশি মুদ্রায় রিজার্ভ ব্যাংক ভরে উঠছে। অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরেই নাগরিকগণ ক্ষুধা নিবারণের সামান্য উপকরণ টুকুও সঠিকভাবে পাচ্ছে না।




খিদের জ্বালায় জ্বলছে দেশ। বিশ্ব বুভুক্ষু সূচকে,২০২১ সালে বিশ্বের ১১৬টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০১। ২০২০ সালে ভারত ছিল এই তালিকার ৯৪ নম্বরে।

প্রতি বছর আয়ারল্যান্ডের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা "কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড" এবং জার্মান সংস্থা "ওয়েল্ট হাঙ্গার হিল্ফ" যৌথভাবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ক্ষুধার পরিমাণ নির্ধারণ করে। এ ক্ষেত্রে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে

 ১. যে কোনও দেশের সমসাময়িক অর্থনৈতিক অবস্থান,

২. শিশু স্বাস্থ্য 

৩. সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে অসাম্যের মতো বিষয়গুলি।

 এর সঙ্গে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে তারা ‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স’ বা জিএইচআই স্কোর নির্ধারণ করে। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অপুষ্টি জনিত সমস্যা, শিশুদের অপুষ্টি জনিত সমস্যা এবং শিশুমৃত্যু হারের মতো বিষয়।

 বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে এ বছরের(২০২১) বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের তালিকা। সেই তালিকায় ভারতের ধারাবাহিক অবনমন অব্যাহত। 

 উল্লেখ যে,ভারতের প্রতিবেশী প্রায় প্রতিটি দেশই ভারতের চেয়ে এগিয়ে। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের সাম্প্রতিকতম তালিকা অনুযায়ী, মায়ানমার রয়েছে ৭১-এ, নেপাল ও বাংলাদেশ যৌথ ভাবে রয়েছে ৭৬ নম্বর স্থানে। পাকিস্তান তালিকায় স্থান পেয়েছে ৯২ নম্বরে।  তালিকায় ভারতের চেয়ে ভাল করলেও তালিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা এই দেশগুলোকেও রেখেছে "ভয়াবহ" শ্রেণিতে।

 তালিকায় ভারতের নীচে রয়েছে পাপুয়া নিউগিনি, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, কঙ্গো, লাইবেরিয়া, মোজাম্বিক, ইয়েমেন, সোমালিয়ার মতো ১৫টি দেশ, যে দেশগুলো বেশিরভাগই আফ্রিকান দেশ এবং নেহাতই গরীব দেশ। 

 ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিন, যার জনসংখ্যা ভারতের চেয়েও বেশি, রয়েছে একদম প্রথমের সারিতে। সেদিক দিয়ে বিচার করলে চিনকে সমস্ত দিক থেকে টেক্কা দেওয়া ভারত এই ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছনে। 

 তালিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার মতে,করোনা মহামারীর কারণে যে বিধিনিষেধ জারি হয়েছিল ভারতে তার জন্যই নাগরিকদের অবস্থা এমন খারাপ হয়েছে। অপুষ্টি জনিত কারণে শিশুদের ভোগার পরিমাণ বাড়ছে দিন দিন।

জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের অভাব,দূর্নীতি, অব্যবস্থা(Mismanagement) প্রভৃতিও দায়ী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ