মাছ খেতে ভালোবাসেন না এমন বাঙালি নেই এই পৃথিবীতে। আর মাছের সঙ্গে গরম গরম ভাত খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। বাঙালির দুপুরের রান্নার মেনু তে মাছের ঝোল প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই থাকে। তাছাড়া এই তরকারিটি খুব সহজেই মাত্র 15 থেকে 20 মিনিটের মধ্যেই তৈরি করে নেওয়া যায়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিটি মানুষ তার স্বার্থের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে এবং দেওয়া উচিত। তাই সব সময় তেল মসলার কষা রান্না খেতে অনেকেই ভালোবাসেন না। সে ক্ষেত্রে এই হেমন্তের হালকা শীতের আমেজে, হালকা রান্না শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। তাই এইবার কষানো মাছের রান্নার বদলে জিরে দিয়ে মাছের ঝোল ট্রাই করা যাক। জিরের ঝোল স্বাদেও ভালো, আবার স্বাস্থ্যকরও।
উপকরণ:
১. ১০০ গ্রাম করে চার টুকরো মাছ (রুই/ কাতলা)।
২. সুন্দর দেখে দুটো টম্যাটো।
৩. প্রায় ১০০ গ্রাম আলু।
৪. ১ টেবল চামচ আদা বাটা।
৫. হলুদ গুঁড়ো।
. ১ টেবল চামচ জিরা।
৭. ৪ টেবিল চামচ সরষের তেল।
৮. একটি তেজপাতা।
৯. ৩ টি কাঁচা লঙ্কা।
১০. হাফ বাটি ধনেপাতা কুচি।
১১. নুন।
১২. দুটি পেঁয়াজ কচি।
প্রণালী:
সবার প্রথমে মাছের কুচি গুলিকে হলুদ-তেল মাখিয়ে 10 থেকে 15 মিনিট রেখে দিন। কড়াইতে তেল দিন একটু গরম হলেই মাছগুলো ওই কড়াইতে দিন। হালকা লাল করে ভেজে ফেলুন মাছের টুকরোগুলো কে। পরে আবার সামান্য পরিমাণ তেল দিন কড়াইতে। ওই তেলে জিরে, ৩ টে লঙ্কা, এবং তেজপাতা দিয়ে হালকা করে নেড়ে নিন। ওই তেলে পেঁয়াজ কচি গুলো ভেজে নিন হালকা করে। এরপর টমেটো কুচি গুলো দিয়ে দিন। তারপর কিছুক্ষণের জন্য কষিয়ে নিন এইগুলো কে। এরপরই তেলে ছাড়ুন আদা বাটা। তারপরেই কিছুক্ষণের জন্য কষিয়ে নিন। তারপরই আলু কুচি গুলো দিয়ে দিন তেলে এবং পরিমান মত হলুদ নুন লংকা গুড়ি দিয়ে ভাল করে নাড়িয়ে নিন। কিছুক্ষণের জন্য কষিয়ে নিন আলু কুচি সহ পেঁয়াজের কষাটিকে। কিছুক্ষণ পর পরিমাণমতো দুই থেকে তিন কাপ জল দিন। তারপর ওভেনের হিট একটু বাড়িয়ে দিন। কড়াইটিকে একটু ঢাকিয়ে আলু টিকে সিদ্ধ করে নিন। কিছুক্ষণ ফুঁটিয়ে নেওয়ার পরে মাছের টুকরোগুলো ছেড়ে দিন কড়াইতে। মাছগুলো কিছুক্ষণ থাকার পরে ওভেন টি বন্ধ করে দিন। এবং তার উপরে হালকা করে ধনেপাতার কুচি গুলি ছড়িয়ে দিন। এখন তৈরী হয়ে গিয়েছে আপনার সুস্বাদু জিরে দিয়ে মাছের ঝোল। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন আপনার প্রিয়জনদের।
0 মন্তব্যসমূহ