তৃণমূলের কর্মী সমিতির বৈঠক, বড় ঘোষণা করতে পারেন Mamata benarjee


 লক্ষ্য দেশজুড়ে ঘাসফুল ফোটানো। সেই লক্ষ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে কাজ শুরু করতে চাইছে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিপুল জনপ্রিয়তায় জয়লাভের পর মাস ছ'য়েক কেটে গিয়েছে এখন। এই সময়ে তৃণমূল টার্গেট করেছে কয়েকটি ছোটো ছোটো রাজ্যগুলোকে। প্রথমদিকে ত্রিপুরা এবং পরবর্তীতে গোয়া নজরে ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের। 

এরপর উচ্চ নেতৃত্বের দূরদৃষ্টি হয়তো আরোও অন্যান্য রাজ্যের মানুষদের মধ্যে তৃণমূলের নীতি,দর্শন ছড়িয়ে দেওয়া। ধীরে ধীরে ঘাঁটি শক্তিশালী করে তোলা। 

এই লক্ষ্যে অনেকটাই সফল কিন্তু তৃণমূল। যা ত্রিপুরার সদ্য সমাপ্ত ভোটে,ভোট প্রাপ্তির শতাংশ দেখলেই আরোও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ত্রিপুরায় এই ৩/৪ মাসের প্রচারেই একটি আসনে জয়লাভ এবং আগরতলায় ২০% ভোট পেয়ে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল। যা অবশ্যই তৃণমূল নেতৃত্ব এবং কর্মীদের মধ্যে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে।

এছাড়াও বেশকিছু দিনের আগেই অরুণাচল প্রদেশের কংগ্রেসের নেতাগণ তৃণমূলে যোগদান করেছেন। অরুণাচল প্রদেশে তৃণমূল ঘাঁটি শক্ত করার জন্য তৃণমূল স্তর থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

আজ রাজ্যে তৃণমূলের কর্মী সমিতির বৈঠক। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের স্ট্রাটেজি কি হতে পারে, বিজেপির বিজয়রথ থামাতে কোন কোন পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে তা নিদিষ্ট করে দিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কেন্দ্রীয় সংসদের ভিতরে এবং বাইরে তৃণমূলের সমমনভাবাপন্ন দলগুলোর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক কি হবে তাও স্পষ্ট করে দিতে পারেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ ব্যতীত অন্য রাজ্যগুলিতে প্রচারের কৌশলও হয়তো ঘোষণা করতে পারেন আজ।

বিজেপি সহ দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর নজর থাকবে আজকের তৃণমূলের বৈঠকের দিকে। আজকের বৈঠকে হরিয়ানা, অসম ত্রিপুরা, গোয়াতে যেসব তৃণমূল নেতৃত্ব আছেন তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সবদিক থেকে বিচার করলে এই বৈঠক জাতীয় স্তরের রাজনীতির ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।

এছাড়াও যে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে, সেখানে সরকারের বিভিন্ন বিভ্রান্ত পদক্ষেপের বিরোধিতা করা হবে কোন উপায়ে তাও নির্ধারিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। সমিতির সদস্য ছাড়াও সাংসদ এবং ভিন রাজ্যের নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন এই বৈঠকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ